অ্যালোভেরার গুণেই ঠোঁট হবে নরম, মসৃণ! ব্যবহার করবেন কী ভাবে?
ত্বক উজ্জ্বল করা, নরম ও মসৃণ রাখা, দাগছোপ ও ব্রণ দূর করা, বলিরেখা আটকানো, চুল পড়া কমানো, খুশকি কমানো, চুল ঘন ও লম্বা করা - এসব এর জন্য অ্যালোভেরা দারুণ উপকারী। ত্বক পরিষ্কার করে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে অ্যালোভেরা। এর পাশাপাশি ঠোঁট সুন্দর রাখতেও জুড়ি নেই এই প্রাকৃতিক উপাদানটির! অ্যালোভেরা জেল ত্বকের ক্ষত সারিয়ে তোলে এবং প্রদাহ কমায়। আজকাল অনেক সংস্থাই রুপচর্চার নানা প্রোডাক্টে অ্যালোভেরা ব্যবহার করছে।
অ্যালোভেরা জেল সরাসরি ঠোঁটে লাগাতে পারেন, আবার লিপ বাম হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন। দেখে নিন, ঠোঁটে অ্যালোভেরা লাগানোর উপকারিতা এবং কী ভাবে ব্যবহার করবেন-
আর্দ্রতা বজায় রাখে
রুক্ষ ও শুষ্ক ঠোঁটে আর্দ্রতা ফেরাতে ব্যবহার করুন অ্যালোভেরা জেল। তৈলাক্তকরণের অভাবে ঠোঁট শুষ্ক এবং ফাটতে পারে। অ্যালোভেরা ত্বক আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। তাই, অ্যালোভেরা লিপবাম ব্যবহার করুন। এতে ঠোঁটের হারানো আর্দ্রতা আবার ফিরে আসবে।
ইনফেকশন সারায়
অ্যালোভেরার অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য ঠোঁটে জ্বালা বা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। ঠোঁট ফাটা, রক্তপাতের ক্ষেত্রে অ্যালোভেরা অত্যন্ত উপকারী।
ঠোঁট ভালো রাখে
অ্যালোভেরায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ত্বকের ক্ষতি হওয়া আটকায় এবং ঠোঁটে বলিরেখা পড়তে দেয় না। নরম, মসৃণ ঠোঁট পেতে অবশ্যই ব্যবহার করুন অ্যালোভেরা।
ঠোঁটে সরাসরি লাগাতে পারেন
গাছ থেকে ফ্রেশ অ্যালোভেরা জেল বের করে সরাসরি ঠোঁটে লাগাতে পারেন। তবে সরাসরি অ্যালোভেরা ব্যবহারে অনেকের ত্বকে বা ঠোঁটে বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও হতে পারে, যেমন লালচেভাব, জ্বালাপোড়া বা যন্ত্রণা। এই সব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে অ্যালোভেরা ব্যবহার না করাই ভালো।