কিডনি সুস্থ রাখার ৬ টি ঊপায়!
শরীর সুস্থ রাখতে হলে কিডনিকে অবহেলা করলে চলবে না। নয়তো শরীরে বাসা বাঁধবে নানা জটিলতা। রক্ত পরিশ্রুত করা থেকে শরীরের বর্জ্য পদার্থ বের করে দেওয়া, সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে কিডনির ভূমিকা অনেক। আর এই কিডনিতে যদি কোনও সমস্যা হয়, তাহলে তার প্রভাব গিয়ে পড়ে সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উপর। তাই কিডনি সুস্থ রাখা খুবই প্রয়োজন।
এখনকার দিনে অনেকেই কিডনির রোগে ভোগেন। প্রথমেই এই অসুখ ধরা যায় না। আর যখন রোগ ধরা পড়ে, তখন এতটাই গুরুতর আকার ধারণ করে যে মৃত্যু মুখে পর্যন্ত পড়তে হয়! তাই আগে থাকতেই সতর্ক হওয়া দরকার। প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস করলেই কিডনি সুস্থ রাখা সম্ভব। দেখে নিন, দৈনন্দিন কোন কোন অভ্যাসে সুস্থ-সবল থাকবে কিডনি।
নিয়মিত শরীরচর্চা করুন
নিয়মিত শরীরচর্চা বা ব্যায়াম কেবলমাত্র আমাদের সক্রিয় রাখে না, পাশাপাশি নানা স্বাস্থ্য সমস্যাও দূর করে। প্রতিদিন ব্যায়াম করলে রক্তচাপ, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে, হার্ট ও কিডনি সুস্থ থাকে। এ ছাড়া, আরও অনেক শারীরিক সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয়। প্রতিদিন দৌড়ানো, হাঁটা, যোগব্যায়াম, সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা কিডনি সুস্থ রাখতে দারুণ কাজ করে।
প্রচুর জল পান করুন
পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। দিনে অন্তত সাত-আট গ্লাস জল পান করা উচিত। জল কিডনি থেকে সোডিয়াম এবং অন্যান্য টক্সিন বের করে দেয়, যার ফলে কিডনি রোগ হওয়ার ঝুঁকি কমে। বিশেষত, যাদের কিডনিতে পাথরের সমস্যা রয়েছে, তাদের আরও বেশি জল পান করা উচিত। জল কিডনিতে পাথর জমতে দেয় না।
ধূমপান ত্যাগ করুন
ধূমপান রক্তনালী ব্লক করে দেয়, ফলে কিডনিতে রক্ত প্রবাহে বাধা পড়ে। তাছাড়া, ধূমপান রেনাল সেল কার্সিনোমা (এক ধরনের কিডনি ক্যান্সার) হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ায়। তবে ধূমপান ছেড়ে দিলে কিডনি ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে।
কিডনি পরীক্ষা করান
ডায়াবেটিস রোগী, জন্মগত ওজন কম, কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা রয়েছে এবং যাঁদের কিডনি রোগের পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে তাদের কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এই ব্যক্তিদের সময়ে সময়ে কিডনি পরীক্ষা করানো উচিত।
ওভার দ্য কাউন্টার (OTC) মেডিসিন
ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কখনই কোনও ওষুধ খাবেন না। ডাক্তার যখন যে ওষুধ সুপারিশ করবেন, তখনই সেই ওষুধ খান। যখন তখন নিজের মতো ওষুধ খেলে কিডনি রোগে আক্রান্ত হতে পারে। OTC ব্যথানাশক ওষুধ যেমন - আইবুপ্রোফেন এবং নেপ্রোক্সেন কিডনির ক্ষতি করতে পারে।
রক্তচাপ (blood pressure) চেক করান
নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করান। উচ্চ রক্তচাপ (high blood pressure) কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। যাঁরা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন, তাঁরা অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।