ইফতারকে আরো স্বাস্থ্যকর করে তোলার 6টি টিপস্!
এটি রমজানের সময়! পুরো পৃথিবীজুড়ে মুসলিমরা এই সময় রমজানের উপোস রাখবেন। তারা সারাদিন কোনো খাদ্য এবং পানীয় গ্রহণ করবেন না, এবং কেবলমাত্র সূর্যোদয়ের আগে এবং সূর্যাস্তের পরেই খাদ্য গ্রহণ করবেন। গোটা দিন নির্জলা উপোসের পর ইফতার গ্রহণ করা এক অন্যরকম আনন্দময় অনুভূতি।
তবে, এই সময় এমন খাবার খাওয়া উচিত যা আপনার শরীরকে আবার পরের দিনের উপোসের জন্য প্রস্তুত করবে। একটি স্বাস্থ্যকর ইফতারের খাদ্য শরীরের ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও সাহায্য করে। আমরা বুঝি যে রমজানের সময় এতো ভালো খাবারের মাঝে স্বাস্থ্যকর খাবার বেছে নেওয়া বেশ কঠিন হয়ে উঠতে পারে। তবে চিন্তা করবেন না, স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করার বেশ কয়েকটি সহজ উপায় আছে।
বেশি করে জল খান – রমজানের সময় নির্জলা উপোস পালন করা হয়। জলবায়ু অনুযাই শরীরের শুষ্কতা বা আদ্রতা বজায় থাকে নির্জলা উপোসের সময়। শরীরে জলের পরিমাণ ঠিক রাখতে ইফতারের সময় প্রচুর পরিমাণ জল, জুস বা দুধ খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে, আপনার শরীরের স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা বজায় থাকবে।(1) তবে বেশি চিনি যুক্ত এবং উচ্চ ক্যালোরি সম্পন্ন পানীয় এড়িয়ে চলাই শ্রেয়
খেজুর দিয়ে শুরু করুন– খেজুর খেয়ে উপোস ভাঙ্গা রমজানের একটি পরম্পরা(2)। খেজুর ইফতারের জন্য ভালো এবং উপকারী। এতে প্রাকৃতিক শর্করা, ফাইবার এবং মিনারেলস যেমন পটাসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ এবং কপার থাকে। এটি খেতেও মিষ্টি এবং আপনার শরীরের জন্যও ভালো।(3)
ফল খান – পৃথিবীজুড়ে বিভিন্ন সভ্যতায় ফল খেয়ে উপোস ভাঙ্গার পরম্পরা আছে। ফলে প্রাকৃতিক শর্করা, জল, ফাইবার এবং মিনারেলস থাকে। ইফতারের সময় ফল খেলে তা শরীরে জলের পরিমাণ ঠিক রাখে এবং আপনাকে সুস্থ্য রাখতে সাহায্য করে।
সুপ খাওয়াও বেশ ভালো – ইফতারের সময় সুপ একটি স্বাস্থ্যকর খাবার হয়ে উঠতে পারে। এতে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় জল এবং প্রোটিন পাওয়া যায়। সুপ খুব সহজেই হজম করা যায় এবং এটি শরীরকে প্রয়োজনীয় পরিমাণ শক্তিও প্রদান করে। ডাল, বিনস বা টফু দিয়ে তৈরি সুপ এই সময়ের জন্য আদর্শ।
মনোযোগ সহকারে খান – সারাদিন উপোস এর পর ইফতারের সময় অতিরিক্ত খেয়ে ফেলবেন না। খাবারের পরিমাণ এবং ক্যালোরির ওপর নজর রাখুন, এটি রমজানের সময় আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে।অতিরিক্ত খাওয়া এড়াতে ধীরে ধীরে এবং মনোযোগ সহকারে খাবার খান।(4)
উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান – আপনার ইফতারের খাবারে প্রোটিন থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনার শরীরকে প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড প্রদান করবে যা পেশীর ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে।(5) দুধ, ডিম, দই, চিস হলো প্রোটিনের ভালো উৎস, এছাড়াও বাদাম এবং লো ফ্যাট দুগ্ধ প্রোডাক্ট শরীরকে প্রয়োজনীয় পরিমাণ এনার্জি এবং প্রোটিন প্রদান করে।(6)
আপনি এখন জানেন যে কিভাবে রমজানের সময় স্বাস্থ্যকর খাদ্য খাবেন, তাই ইফতারের সময় আবার অস্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন না যেনো। এই টিপস্ গুলি মেনে চলুন এবং রমজানের সময়েও নিজেকে সুস্থ রাখুন।